ফাইল ছবি
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন প্রজাতির করোনা (কোভিড-১৯) বাড়িয়ে দিয়েছে চিন্তা। এই নতুন করোনার পরিবর্তিত বা মিউটেশনের উৎস জানতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ব্রিটেনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র। তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
বিশেষ কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা। নতুন প্রজাতির এই করোনার নাম ভিইউআই ২০২০১২/০১ (VUI 202012/01)। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
জানা গেছে, এই নতুন করোনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ঘটায়। যদিও এর ফলে মৃত্যুহার বৃদ্ধির প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। মূল করোনার উপসর্গের সঙ্গে মিল থাকলেও পাঁচটি উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা।
উপসর্গগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, অনবরত বুকে ব্যথা, কনফিউশন বা বিভ্রান্তি, অতিরিক্ত ক্লান্তির জন্য জেগে থাকতে না পারা এবং ঠোঁট ও মুখ নীলচে হয়ে যাওয়া।
এদিকে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষণায় দাবি করা হয়, ব্রিটেনে এই নতুন করোনা মৃত্যুর হার বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও বেশি সংখ্যক মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে। মূল করোনার শিশুদের জন্য সেভাবে বিপজ্জনক ছিলো না। কিন্তু এই নতুন প্রজাতির করোনার শিশুদের জন্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এই নতুন করোনা সহজেই মানুষের কোষে প্রবেশ করতে পারে। তাই বয়স্কদের পাশাপাশি শিশু ও কমবয়সীদের জন্যও এটি একই রকম বিপজ্জনক। তাই যে কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসার সাহায্য পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
একই সঙ্গে নিয়মিত মাস্ক পরে থাকা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা।
বাংলা/এনএস