ছবি : সংগৃহীত
অনেকেই বাড়িতে নানা ধরনের পশু-পাখি পালন করেন। এসব পোষ্যপ্রাণী নানা ধরনে অসুখও হয়। কিন্তু তাদের চিকিৎসা করার সময় নানা সমস্যায় পড়েন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে জরুরি ক্ষেত্রে রক্তের অভাব প্রধান সমস্যা। এবার এই সমস্যার সমাধান করেছে ভারতের কলকাতার বেসরকারি পশু হাসপাতাল।
দক্ষিণ কলকাতার অনিল রায় রোডের এই পশু হাসপাতালটির অবস্থান। তারা ইতোমধ্যে কুকরদের রক্তের গ্রুপের ডাটা ব্যাংক তৈরি করেছে। রক্তের গ্রুপগুলো হলো- বিএই ১.১, বিএই ১.৭, বিএই ২.২। এমন ১৩টি গ্রুপের রক্ত পাওয়া গেছে। ২৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার থেকে এই তথ্য ব্যাংকের কাজ শুরু করছে হাসপাতালটি। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
সংস্থাটি জানায়, পোষ্যরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে বা অন্য কোনো কারণে ‘ব্লাড লস’ হতে পারে। এক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে মানুষের মতোই তাদেরকেও রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কুকুরদের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ বেশি হওয়ায় চটজলদি ম্যাচিং করানো মুশকিল। রক্তের তথ্য ব্যাংক হাতে থাকলে রক্তদাতার জন্য আর হাতরাতে হবে না। পোষ্যের মালিককে ফোন করলেই সমাধান হয়ে যাবে।
এতদিন পোষ্যদের ক্ষেত্রে পুরাতন পদ্ধতি অবলম্বন করা হতো। অর্থাৎ দাতা ও গ্রহীতার রক্তের দু ফোঁটা স্লাইডে নিয়ে সেগুলো মিশিয়ে দেখা হতো জমাট বাঁধছে কিনা। এই ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’ পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ। সব সময় সঠিক ফলও দেয় না। ফলে গ্রহীতার শরীরে অ্যালার্জি তৈরি হওয়া ঝুঁকি থাকে। তথ্য ব্যাংক তৈরি হলে এই সমস্যা কাটানো যাবে বলেই মত পশু চিকিৎসকদের।
ওই হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, এক অভিনেতার জন্মদিনকে সামনে রেখে আমরা এই রক্তের তথ্য ব্যাংক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যেই এখানে একটি বিড়াল ও চারটি কুকুরের শরীরে সফল ভাবে রক্ত সঞ্চালন করা হয়েছে। পূর্ব ভারতে এমন উদ্যোগে এই প্রথম। এখানে অস্ত্রপচোরও হচ্ছে। রক্তের এই তথ্য ব্যাংক রাজ্যটিতে সত্যিই পোষ্য চিকিৎসায় বিপ্লব আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলা/এনএস