ছবি : বাংলা
রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতা-কর্মীরা।
তাদের দাবি, সব ধরনের নিয়োগ স্থগিতের নির্দেশনা থাকার পরও কেন নতুন করে নিয়োগ দেয়া হলো তা জানতেই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে বাইরে প্রায় অর্ধশতাধিক চাকরি প্রত্যাশী অবস্থান নিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ১২টা) অবরুদ্ধ রয়েছেন উপাচার্য।
জানা যায়, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে অ্যাডহক ভিত্তিতে এক প্রতিবন্ধী যুবককে নিয়োগ দেয় প্রশাসন। সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে ছয়জনের একটি দল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাদের চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত না করলে বাইরে এসে তারা বাসভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা জানান, অনেকেই অনেক পদে আবেদন করেছেন, পরীক্ষা দিয়েছেন। কেবল ভাইভা বাকি রয়েছে। রাজনীতি না করেও অনেকের চাকরি হয়েছে, অথচ ৫-১০ বছর রাজনীতি করেও কারও চাকরি হচ্ছে না। দীর্ঘদিন থেকে আশ্বাস দিলেও তাদের চাকরি দেননি উপাচার্য। বাধ্য হয়ে তারা আজ অবস্থান নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, 'সব ধরনের নিয়োগ বাতিল রাখার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আজ এডহকে একজনের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কেন চাকরি হচ্ছে না, তা জানতেই নেতা-কর্মীরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।’
তবে ফটকে তালা লাগানোর সঙ্গে বর্তমান ছাত্রলীগের কেউ সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে নিয়োগ স্থগিতের নির্দেশনা থাকার পরও নতুন করে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সোবহান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে একটি চিঠিতে একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে চাকরি দিতে বলা হয়েছে। নিয়োগ বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকায় এ বিষয়ে আমি সচিবকে জানিয়েছি। তিনিও নিয়োগ দিতে বলেছেন এবং সেকারণেই নিয়োগ দিয়েছি।'
এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় উপাচার্যের কাছে গিয়ে চাকরি দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতারা। এবং চাকরির বিষয়ে কোনো রকম আশ্বাস না পেয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন তারা।