ছবি : সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নতুন করে জনস্বাস্থ্যের ওপর হুমকি হয়ে উঠায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে মালয়েশিয়া।
গতকাল ১১ জানুয়ারি, সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে লিখিত এক বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন দেশের রাজা ইয়াং ডি পারতুয়ান আগং আল সুলতান আব্দুল্লাহ রি-আয়াতুদ্দিন আল মোস্তাফা বিল্লাহ শাহ।
আজ ১২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সকাল থেকে জারি হওয়া এই জরুরি অবস্থা আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত অথবা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত চলবে। সেইসাথে সেখানকার পার্লামেন্ট ও রাজ্যের লেজিসলেচারও স্থগিত করা হয়েছে।
এদিক স্থানীয় সময় আজ সকাল ১১টায় টেলিভিশনে এ বিষয়ে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন।
তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এটি কারফিউ নয়। এটি সেনা অভ্যুত্থানও নয়। এতে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন আরো বলেন, ‘জরুরি অবস্থার অধীনে জাতীয় পার্লামেন্ট ও স্টেট লেজিসলেচার স্থগিত থাকবে। এ সময়ে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’
এর আগে সোমবার রাতে রাজাকে উদ্ধৃত করে তিনি জানান, রাজার সম্মতিতে তিনি সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে আটটি রাজ্যে এবং ফেডারেল অঞ্চলে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, এসব স্থানের হাসপাতালগুলো রয়েছে ‘ব্রেকিং পয়েন্টে’। এই লকডাউনের অধীনে রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ সাবাহ, সেলাঙ্গর, পেনাং এবং যোহর রাজ্যগুলো রয়েছে। এসব স্থানে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন চলবে।
বাংলা/এসএ/