ফাইল ছবি
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার আসামি আগামী চার মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবেন না। গতকাল ২৪ জানুয়ারি, রবিবার এমন আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। অভিযুক্ত আসামি হলেন চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারী নূর মোহাম্মদ।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।
জামিন প্রশ্নে আদালতের রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় তথ্য গোপন করে একই বেঞ্চে আবারো জামিন আবেদন করে রুল নেয়ার প্রেক্ষাপটে এমন আদেশ এলো হাইকোর্ট থেকে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি। তিনি আদালতে ওই আসামির তথ্য গোপনের বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন।
এরপর হাইকোর্ট পূর্বে দেয়া রুলের আদেশ রিকল করে জামিন আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। সেইসঙ্গে ওই আসামি আগামী চারমাস দেশের কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।
গত বছরের ২৬ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার জিপিও কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান চালায় ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিট শাখার কর্মকর্তারা। সে অভিযানে গ্রাহকের প্রায় ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম জিপিও সঞ্চয় শাখার পোস্টমাস্টার-৬ নুর মোহাম্মদ ও একই শাখার কাউন্টার অপারেটর সরওয়ার আলম খানকে আটক করা হয়।
আটকের পর নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই রাতেই তাদের কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম মোড়ল ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। একপর্যায়ে আসামিরা জামিন চাইলে আদালত তাদের আবেদন না মঞ্জুর করেন। এরপর গত ডিসেম্বরে প্রথম হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে নূর মোহাম্মদ।