ফাইল ছবি
সজীব ওয়াফি
একাত্তরে পাকিস্তানি শোষণ-নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে; অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় জেলে, কামার, কুমোর, তাঁতি, কৃষক, শ্রমিক এবং ছাত্র-বুদ্ধিজীবী সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তী দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর অনেক সময়। কৃষক-শ্রমিকের এবং গরিব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে এরচেয়ে বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। স্বাধীনতার পরে আওয়ামী শাসন, বাকশালি শাসন, সামরিক শাসন ও পরপর দু’বার পালাক্রমে বিএনপি-আওয়ামী শাসন অতিক্রম হয়ে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে একটানা আওয়ামী লীগের শাসন চলছে। এ সময়ে দৃশ্যত ক্ষমতায় হাতবদল হওয়া ছাড়া মৌলিক কোন পরিবর্তন হয়নি। গরিব মানুষকে শোষণের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি একটুও। কৃষক-শ্রমিকেরা রয়ে গেলেন আগের মতোই। যা হয়েছে—সেটা হল মুষ্টিমেয় কিছু লোকজনের হঠাৎ বড়লোক হয়ে যাওয়া।
শরীরের রক্ত পানি করে কৃষক ধান, পাট, আখ, গম ও সবজিসহ বিভিন্ন করমের ফসল ফলায়। অনেকের জমি নেই, তারা বর্গা চাষ করে। সেই বর্গা ফসলের তিন ভাগের এক ভাগ পায় জমির মালিক বিনা পরিশ্রমে; শুধুমাত্র জমির মালিকানার বদৌলতে। ফসল ফলাতে চড়া সুদে মহাজন অথবা এনজিও’র কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় কৃষক। চৈত্র মাসে যে ঋণের সুদের হারও অনেক বেশি। ফসল ওঠার পরে বিক্রি করতে গিয়ে বাজারে দাম পায় না কৃষক; সস্তায় লোকসানে দিয়ে আসতে হয় ধনিক শ্রেণীর গড়ে ওঠা ‘সিন্ডিকেটে’র হাতে। ফলাফলে মহাজন-এনজিওগুলো ঋণ পরিশোধে অক্ষম কৃষকের গরু-বাছুর, ঘরের টিন খুলে নিয়ে যায়। দরকারের সময়ে সেই একই ফসল আকাশছোঁয়া দামে কিনতে হয় তাদের। কৃষকেরা ঠকে গিয়ে উৎপাদিত ফসলের মূল্যে লাভবান হয়ে গেল বিশেষ সিন্ডিকেটের মধ্যস্বত্ত্বভোগী শ্রেণী। কৃষক না পারলো ভোগ করতে, না পেল ন্যায্য দাম।
পেঁয়াজ, আলু, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজির দাম না পেয়ে রাস্তায় ফেলে আসতে হয় কৃষকদের। অথচ শহরাঞ্চলে সেই সবজি কিনতে গরিব ভোক্তারা হিমশিম খায়। পাটচাষিদের দুরবস্থা এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে বর্তমানে পাটের তুলনায় খড়ির দাম বেশি। দামের চেয়ে ধান কাটতে খরচ বেশি পড়ায় হতাশ হয়ে কৃষক ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকারগুলো পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের স্বার্থে কৃষকের উৎপাদন মৌসুমে একই ফসল আমদানি করে। এমতাবস্থায় দেশীয় কৃষক ন্যায্য দাম পেতে মার খায়। পাটশিল্প-চিনিশিল্প ধ্বংস করেও বিকিয়ে দেয়া হচ্ছে কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থ।
কৃষক পরিবারের সদস্যরা বিশেষ শ্রেণীর শোষণে কৃষিতে সুবিধা করতে না পেরে শহরমুখী হচ্ছে দিনে দিনে। কলকারখানা-গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে ঢুকছে জীবনের তাগিদে। শ্রমিকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন হচ্ছে নানান রকমের জিনিস। পোষাক, পরিবহন, আসবাবপত্র, দালানকোঠা, সুউচ্চ ইমারতসহ এমন কোন স্তর নেই যেখানে শ্রমিকদের অবদান নেই। অথচ শ্রমিকদের পাওনার বেলায় তাদের ঠকানো হয়; দেয়া হয় না ন্যায্য পারিশ্রমিক। বকেয়া পাওনার দাবিতেও দিনের পর দিন রাস্তায় অনশন করতে হয়। এখানেও গ্রামের মহাজনদের মত মালিক শ্রেণী। কারখানা লাভজনক করতে পুরো উৎপাদনে শ্রমিকদের অবদান হলেও তাদের ঠকিয়ে সে অর্থে তারা বসবাস করে বিলাসবহুল বাড়িতে; দামি দামি গাড়িতে চড়ে বেড়ায় শ্রমিকের আবদানে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানের আয় করা পয়সায়। অপরদিকে শ্রমিকরা অন্যায্য অল্প পারিশ্রমিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনমতে পরিবার নিয়ে অপুষ্টি-অবহেলায় বছরের পর বছর পার করে।
শ্রমজীবী এই কৃষক-শ্রমিকেরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অপুষ্টিতে ভুগে রোগাক্রান্ত হলে তাদের জন্য হয় না চিকিৎসার ব্যবস্থা। বেসরকারি মেডিকেলের নাম নেয়াও তাদের জন্য হারাম। বরং বেসরকারি বড় বড় মেডিকেলগুলো ধনী শ্রেণীর জন্য। সরকারি মেডিকেলগুলোতে চিকিৎসা নিতে গেলে অবহেলা এবং সময়মত উপর্যুক্ত চিকিৎসার অভাবে শেষ পর্যন্ত ভুগতে ভুগতে রোগী মারা যায়। অর্থের অভাবে পরিবারে লেগে থাকে গন্ডগোল, নারীরা হয় নির্যাতিত। পুঁজিবাদের দুষ্টচক্রে তৈরি হয় অসংখ্য বেকার, সমাজে চুরি-ডাকাতি, নৈরাজ্য-হতাশা চেপে ধরে চারদিক দিয়ে। ইচ্ছা স্বত্ত্বেও অর্থনৈতিক কারণে ছেলেমেয়েদের পর্যাপ্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাবে চারদিক থেকে কুসংস্কার চেপে ধরে। মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিতে বাধ্য হয় পরিবারগুলো। উচ্চ শিক্ষা তাদের সন্তানদের জন্য দুঃস্বপ্ন। ধনী শ্রেণীর হাতে যুগের পরে যুগ এভাবেই শোষণের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে শ্রমজীবীরা।
কৃষক-শ্রমিকদের শোষণের এই বেড়াজাল সাধারণ দৃষ্টিতে স্বাভাবিক মনে হলেও এটা মোটেই স্বাভাবিক নয়। কারণ ধনী শোষকেরা নিজেদের স্বার্থে গরিবদের জন্য এসব শিকল তৈরি করেছে। শ্রমজীবীরা যেন এই শিকল ছিঁড়ে বের না হতে পারেন তার সমস্ত আয়োজনও তারা করে রেখেছে। তারা নিজেদের স্বার্থে তৈরি করেছে বিভিন্ন আইন, সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সমিতি ইত্যাদি ধাঁচের সংগঠন। ধনিক সামন্তবাদীরা গঠন করেছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের কাজ হল সম্পত্তিওয়ালাদের কলকারখানা ও সম্পত্তি সম্পত্তিহীন গরিব মানুষ এবং বিদেশি আক্রমণ থেকে রক্ষা করা। এই কাজ করতে গিয়ে রাষ্ট্র উৎপাদন যন্ত্রপাতি, কলকারখানা ও সম্পত্তি যাতে সম্পত্তিওয়ালাদের হাতছাড়া হয়ে না যায় এবং তাদের লাভের জন্য চালু থাকে তার উদ্দেশ্যে আইন তৈরি করে। গরিবেরা নিজেদের ভিতরে মারামারি বা ধর্মঘট করলে ধনীদের উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়, এ জন্য রেখেছে শান্তিরক্ষা বিভাগ। আইন-কানুন, থানা-পুলিশ, বিভিন্ন দপ্তরসহ সবকিছু টিকিয়ে রেখেছে তাদের নিজেদের শ্রেণী স্বার্থে। এরাই আবার প্রচার করে ধনী-গরিব সকলের জন্য আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি সমান। কখনো শুনেছেন কোন বড় অফিসার গরিবের বাড়িতে এসে আড্ডা দেয়? অথচ ধনীদের বাড়িতে গিয়ে কিন্তু তারা সময় ব্যয় করতে কুণ্ঠিত হয় না, অধিকন্তু তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখে। তাহলে তাদেরকে কি ঐ অফিসারেরা সুবিধা দিবেন না ভাবছেন?
টাকা-পয়সা না থাকলে সঠিক বিচার বিবেচনা পাওয়া যায় না। আইন-কানুন, অফিস-আদালত যদি সকলের জন্য সমানই হবে তাহলে প্রায়ই শোষিত মানুষের চিৎকার ভেসে আসে কেন! সংসদে কতজন সাংসদ আছেন কৃষক-শ্রমিক? সারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর কেন গুলি করা হবে? গরিবদের শোষণ করে ধনী শ্রেণীর পয়সা আছে বলেই তারা আইন কানুন, বিচার-আচার কোন বিষয়ই মনে করেন না। হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি হয়েও জেলে বসে তারা নারীসঙ্গ পেতে পারে; শেয়ার বাজার-ব্যাংক লুট করে বিদেশে বিনা বাধায় চলে যেতে পারে, দম্ভোক্তি করতে পারে, সাহস দেখাতে পারে গরিবের ট্যাক্সের পয়সায় গড়ে ওঠা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকার ঋণ খেলাপি করার, যখন-তখন পারে যে কাউকে গুলি ছুড়তে, দেশের অর্থ পাচার করতে পারে বিদেশে, অবৈধভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে সুইস ব্যাংকে। জেলে রাজকীয় পরিবেশেই যদি থাকবে তবে আইন-কানুন সমান রইলো কই?
নির্বাচন চলে আসলে তখন এই বিশেষ শ্রেণীর লোকজনই নির্বাচনে দাঁড়ায়। ভোটের জন্য গরিব মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোট ভিক্ষা করে। গরিব মানুষকে প্রায়ই বলতে শোনা যায় তারা বারবারই ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করে ঠকেছেন; গরিবদের জন্য বরাদ্দ জনপ্রতিনিধিরা খেয়ে ফেলেছে অথবা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, সরকারি প্রজেক্টের নলকূপ পেতে ঘুষ দিতে হচ্ছে এবং রাস্তাঘাট নির্মাণের বরাদ্দ খেয়ে ফেলে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ উঠে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। নির্বাচনে গরিবদের প্রার্থী যে দাঁড়ায় না এমনটা কিন্তু না। দেখা যায়, রাজনৈতিক সচেতনতার অভাবে গরিবদের প্রার্থীকে গরিবেরা চিনতে পারছেন না। তার ওপরে নির্বাচনে ধনীদের অর্থ ব্যয় এবং পেশীশক্তির কারণে কৃষক-শ্রমিকের সত্যিকারের প্রার্থী হেরে যান। নির্বাচনে ব্যয় হওয়া টাকা ধনী প্রার্থী পরবর্তীতে তুলবেন কি করে এটা গরিবেরা কেন চিন্তা করেন না? কাজে কর্মে মিল আছে কিনা এরকম রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থী যাচাই-বাছাই না করে কেন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেন?
নির্বাচনে জেতার পরে ধনী শ্রেণীর এই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব শ্রেণীর স্বার্থ দেখবেন স্বাভাবিক। সেখানে নিম গাছে মিষ্টি ফল আশা করাটাই বোকামি। ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধিরা দিন শেষে সওদা করে বাসায় ফিরবেন। তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এ কারণেই মাঝেমধ্যে দু’একটা চুনোপুঁটি ধরাধরি করেন। রাঘববোয়ালদের ধারে কাছেও না ঘেঁষে। আইয়ুব খানের কমলাপুর রেলস্টেশন নির্মাণের মত দু’একটা অবকাঠামো নির্মাণ করেন ঢাকঢোল পিটিয়ে। বাস্তবে ওসব অবকাঠামো সামান্য কিছু ধনী শ্রেণীদেরই পকেট ভারী করতে সুযোগ এনে দেয়। কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থ কাজ করে যে সকল দল তাদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে এবং বিভেদ সৃষ্টি করতেও ধনী শ্রেণীরা মরিয়া থাকেন নিজেদের স্বার্থেই। এ কারণেই গরিবদের ঐ সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং সংগঠকদের ‘নাস্তিক’ হিসেবে অপপ্রচার করে গরিবদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। অথচ ইসলামসহ সকল ধর্মেই আছে বকেয়া পাওনা এবং ন্যায্য মজুরি প্রদানের কঠোর বিধান। আছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার নির্দেশ।
কারখানার ম্যানেজার পরিবর্তন করলেই যেমন রাতারাতি কারখানার নিয়ম পরিবর্তন হয়ে যায় না। পরিবর্তন আনতে হলে পুরো ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হয়। তেমনি কৃষক-শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে হলে যারা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে পারবে সে সব রাজনৈতিক দলকে সংসদে পাঠাতে হয়। কৃষক-শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করা দলগুলোকে মানুষের কাছে পৌঁছতে গণমাধ্যমের ব্যবস্থা করতে হবে, শহরের চার দেয়াল পরিহার করে ক্ষেতের আলে গিয়ে নামাতে হবে শ্রমজীবীদের মিছিল।
অনেক সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকেও কিছু শিক্ষিত মার্জিত কৃষক-শ্রমিকদরদী রাজনৈতিক দল এবং নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে। রাজনৈতিক দল ও প্রতিনিধিদের কথা এবং কাজে মিল আছে আছে কিনা বিবেচনা করে তাদের পক্ষ নেওয়া জরুরি। বিবেচনা করা উচিত তাদের মাসিক আয় কত টাকা এবং ব্যয় করেন কত টাকা? আয়ের মাধ্যমগুলো কি কি? গরিবদের জন্য যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐ নেতারা তৈরি করেছেন সেসব প্রতিষ্ঠানে তাদের সন্তানদের পড়ান কিনা? অসুস্থ হলে গরিবদের জন্য যে মেডিকেল আছে তাতে চিকিৎসা নেয় কিনা? সরকার থেকে তদবির করে বিশেষ সুবিধা আদায় করেন কিনা? নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কেমন সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। যাদের সন্তানদের গরিবদের জন্য স্কুলে পড়ায় না, নামি-দামি স্কুল কলেজ অথবা বিদেশে পড়ায়; নিয়মিত গণপরিবহনে চড়তে যাদের অসুবিধা, অসুস্থ হলেই চিকিৎসা নিতে যারা ছুটে যায় বিদেশে, লুঙ্গি পরে কৃষক শ্রমিকদের সাথে মিশতে যাদের সমস্যা, নির্বাচনের সময় ব্যতীত কৃষক শ্রমিক ও গরিব প্রতিবেশীদের খোঁজ রাখে না যারা, অসুস্থ রাজনৈতিক চর্চা করে এবং সৎ পথে চলার চেয়ে লোভ মোহগ্রস্ত করে থাকে বেশি সেসব রাজনৈতিক দল এবং নেতৃত্বকে সমর্থন করলে কৃষক শ্রমিক এবং গরিবদের এক আনাও লাভ হওয়ার সুযোগ নেই। যে ধরনের সেবা কেউ না নিবেন সে ক্ষেত্রে তারা পরিবর্তন করবেন না এটাই পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়ম। বরঞ্চ বিদেশি প্রভুদের পদলেহন করে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এসব প্রতিনিধিদের হাতে সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ এবং যাদের জাতীয় দুঃসময়ে দেশ ছেড়ে পালানোর ইতিহাস আছে।
যতদিনে কৃষক-শ্রমিক তাদের নিজস্ব সংগঠন গড়ে না তুলছেন; নিজেদের শ্রেণীকে সংসদে না পাঠাচ্ছেন ততদিনে তাদের মুক্তি নেই। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে পাড়ায়-মহল্লায় কৃষক-শ্রমিকদের করতে হবে নিজেদের সংগঠন। নিজের অধিকার আদায়ের জন্য নিজেদেরই সরব অংশগ্রহণ হতে হবে। এখন সময়ের প্রয়োজন গরিব মানুষের এবং কৃষক শ্রমিকদের নিজস্ব রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটানোর। মেহনতি মানুষকে লাল সেলাম।
লেখক : রাজনৈতিক কর্মী ও বিশ্লেষক