ছবি : সংগৃহীত
গত ৫ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবারই নিজের ৩৬তম জন্মদিন পালন করলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের কী নেই? অর্থ, যশ-খ্যাতি—কিছুরই কমতি নেই জুভেন্টাস উইঙ্গারের। অথচ এই রোনালদো’র পৃথিবীতে আসা ঠেকিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তারই গর্ভধারিনী মা।
দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত মারিয়া ডলোরেস আভেইরার গর্ভজাত চতুর্থ সন্তান এই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগালের ছোট্ট শহর মাদেইরার ছোট্ট ফ্ল্যাটে স্বামী হোসে ডেনিস অ্যাভেইরা ও তিন সন্তান নিয়ে তখন বাস করতেন তিনি। একে তো আর্থিক অস্বচ্ছলতা, এর ওপর স্বামীর মাদকাসক্তি। এ নিয়ে যখন জেরবার মারিয়া, তখনই গর্ভে আসেন ক্রিস্টিয়ানো। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কায় তাকে পৃথিবীতে আসতে না দেয়া সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
মারিয়া চেয়েছিলেন গর্ভপাত করাতে। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তে রাজি হননি চিকিৎসক। এতেই পৃথিবীর আলোয় আসেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আর এই ঘটনার জন্য এখন ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ মারিয়া। না হলেই পৃথিবীবাসী এমন এক দুর্দান্ত ফুটবলারকে পেতোই না!
আর শৈশবের দারিদ্র্যের স্মৃতি একটুও ভুলে যাননি রোনালদো। কঠোর পরিশ্রমী এই ফুটবলার সবসময়ই বিপদগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় তার বাড়িয়ে দেন দুই হাত। প্রচুর অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েও মাটিতে পা রেখেই চলেন তিনি। পরিবারকেই রোনালদো রাখেন সবকিছুর ঊর্ধ্বে! ধন্যি মা মারিয়া! ধন্যি তার পুত্র রোনালদোর জন্য। এই সেই পুত্র, যাকে একসময় পৃথিবীতে আনতেই ভয় পাচ্ছিলেন তিনি।
বাংলা/এসএ/