জর্ডানে দেশটির সাবেক যুবরাজকে অভ্যুত্থানচেষ্টার অভিযোগে ‘গৃহবন্দী’ করে রাখার দাবি করা হয়েছে। যুবরাজ হামজা বিন হোসেন তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিওবার্তায় দাবি করেছেন সরকারের সমালোচনা করায় তাঁকে গৃহবন্দি’ করে রাখা হয়েছে।
তবে যুবরাজকে 'গৃহবন্দি' করে রাখার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
‘গৃহবন্দি’ করে রাখার অভিযোগ তোলা যুবরাজ হামজা বিন হোসেন জর্ডানের বর্তমান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ-র সৎ ভাই। ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন দেশটির সেনাবাহিনী তাঁর বাড়ি থেকে বের হওয়া ও কারো সাথে যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কেননা, তিনি দেশটির ক্ষমতায় থাকা নেতাদের ও সরকারের সমালোচনা করেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দেশটির বিভিন্ন উপজাতি নেতাদের কাছ থেকে সমর্থন আদায় করতে চেয়েছিলেন যুবরাজ হামজা। যা দেশটির সরকারের কাছে অভ্যুত্থানচেষ্টার আশঙ্কা হিসেবে প্রতীয়মান হয়। তবে যুবরাজ দাবি করেছেন তিনি কোনো অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করছিলেন না।
এই ঘটনায় সৌদি আরব জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ-র প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরও একই পথে হেঁটেছে।
সৌদি রয়েল কোর্ট জানিয়েছে, বাদশাহ আবদুল্লাহর গৃহীত সব পদক্ষেপের প্রতি রিয়াদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।