• ০৫ এপ্রিল ২০২১ ১৬:২৭:১৫
  • ০৫ এপ্রিল ২০২১ ১৬:২৭:১৫
অন্যকে জানাতে পারেন: Facebook Twitter Google+ LinkedIn Save to Facebook প্রিন্ট করুন
বিজ্ঞাপন

যমে তো গল্লি চিন্না গেলো...

কাকন রেজা:

কয়ডা সওয়াল জাগছে মনে। জিগাইবার চাই। ডরে ডরে কই, ওই যে ফাঁসফুঁস লইয়া আলাপ। সোয়ামি বউয়ের ফোনালাপ ফাঁসের ব্যাপার। মামুনুল মামুর কেইস।  

এক নম্বর সওয়াল হইলো, অডিও আদালতে গ্রহণযোগ্য কিনা হ্যাইডা। অডিও হ্যাই টেলিভিশন পাইলো কই থিকা। যদি কুনো টেলিফোন কোম্পানি দিয়া থাকে তইলে তারা তাগো শর্ত ভঙ্গ করছে। কারণ সোয়ামি বউয়ের আলাপ, প্রেমের আলাপ, খাউজানি আলাপ কুনো রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র না, যেইটা ফাঁস করন জরুরি। সুতরাং সেই টেলিফোন কোম্পানি মাইনসের পার্সোনাল আলাপের রেকর্ড রাখতাছে, এইডা আইনত অপরাধ। দেশের সংবিধান তাই কয়। এই অপরাধে হ্যাই কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল হইতে পারে। অহন সরকারের এজেন্সিগুলার দায়িত্ব হইলো গিয়া ব্যক্তিগত আলাপের টেপ কোনহান থিকা পাইলো হ্যাইডা ও হ্যারে ধরা। লগে যারা প্রচার করলো তাগো কী হইবো মামু? নইলে তো ঘটনা প্যাঁচ খায়, আইনের বরখেলাপ হয়।

দুই নম্বর হইলো, কয়দিন আগে যারা আলাপ ফাঁস লইয়া গরম কথা কইলো। দাদারে আদা পড়া মাইনে সাংবাদিকতার ইথিকস শিখাইলো। এই ফাঁসের মইধ্যে কি সেই ইথিকস হাওয়া হইয়া গেলো!

তিন নম্বর, যদি কুনো এজেন্সি এইডা ফাঁস না করে, তয় যার টেপ ফাঁস হইলো হ্যায় কি টেলিভিশনরে দিয়া দিল প্রচার করণের লাইগা। না তার লগে ওই টেলিভিশন বা টেলিভিশনের কারো ব্যক্তিগত শত্রুতা আছিলো। না হইলে যে আলাপ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে না, হুদা ব্যক্তিগত, হ্যাইডা ফাঁস করনের মাইনে কী?

এই সকল সওয়ালে কি মনে করন যায় না, আইনের পুরা বরখেলাপ হইছে এমুন কাজকামে। আইনের চক্ষু দিওন কি উচিত না? না দিলে যেকুনো দিন যে কারুর হাঁড়ির খবর ফাঁস হইয়া যাইতে পারে। হাঁড়িতে তো মাল কম-বেশি হগলেরই আছে, কি কন?

অখন আহেন উপসংহারে, যমে তো গল্লি চিন্না গেছে। যারা অন্যের আলাপ ফাঁস করবার লাগছে। লগে যারা হ্যাই ফাঁস হওয়া আলাপ ঘরে ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছেন, হ্যাগো অবস্থা কী? হ্যারা কি গৌতম বুদ্ধ? হ্যাগো এমুন কুনো কাহিনি নাই? যমে যেহেতু গল্লি চিনছে, অহন অন্য মামুগো এমুন আলাপ রেকর্ড হইতাছে কিনা কে কইবো। হইলে তো কলিকাতার ঘটিগো জবানে, ‘বেজে বারোটা’।

যাউকগা, গল্লি চিননের গপ্পটা কই। শত্রু মইরা গেছে, হ্যার লাইগা কানবার লাগছে একজন। আরেকজন জিগায়, কানবার লাগছেন ক্যালা, হ্যায়তো আপনের দুছমন আছিল? য্যায় কান্দে হ্যায় কয়, ‘হ্যার লিগা কান্দি নিকি, যমে যে গল্লি চিন্না গেলো হ্যার লাইগা কান্দি।’ যাউক গা, গপ্পতো গপ্পই। কন, ঠিক কিনা?  

আরেকখান সওয়াল আছে। একজন যদি পতিতার লগে আলাপ করে মুবাইলে। জিগায় হ্যার রেট কত। খালি আছে কিনা। কহন যাওন যাইবো। হ্যার বডি কন্ডিশন কী, হ্যায় ফিট কিনা। তয় কি দোষের হইবো? সরকার তো পতিতাবৃত্তি করনের লাইছেন দিছে। লাইছেন দিওনের মানে হইলো তার লগে শুওনের আপনেরে অধিকার দিছে। অহন হ্যাই ফোনালাপ যদি ফাঁস হইয়া যায়, তয় ফাঁস করনডা কি ব্যক্তির লগে সরকারের দিকেও যায় না? ব্যক্তি ও সরকার দুইজনেই মাইনকাচিপায় প্যাঁচ খান না। কথা কন না কেন, বলেন ঠিক কিনা?

ওই দামড়াগো জিগাই, যারা যারা কথায় কথায় কয় পতিতাগোও অধিকার আছে। হ্যাই মামুরা কই, বইয়া বইয়া বোতল খায় নিকি? ভুল বুইজেন না বোতল মানে দুদু খায় নিকি। আরে হ্যাই দুদু না, ফিডারের কথা কইলাম আর কী। না হইলে হ্যাগো অধিকারের আলাপ বাইরয় না ক্যালা!

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Page rendered in: 0.1559 seconds.