২০১৬ সালে মাহিকে বিয়ে করেন অপু।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে (২৩ মে) ঢালিউড নায়িকা মাহিয়া মাহি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে জানান, সাংসারিক জীবনে ছেদ পড়েছে তার। স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপু ও তিনি একসঙ্গে থাকছেন না।
এবার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তারিত জানালেন অপু। গতকাল রবিবার রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে অপু লিখেন, ‘একটি সম্পর্ক গড়তে গেলে যেসব গুণ থাকে সেগুলো হলো- সততা, ওয়াদা, বিশ্বস্ততা, বন্ধুত্ব, দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা, বোঝার ক্ষমতা, স্বচ্ছতা ও ভালোবাসা, নিজস্ব বিশ্বাস এবং সম্পর্ক হওয়ার পর সেটা পরিবর্তিত হতেই পারে। আমরা বেঁচে আছি সম্পর্ক নিয়ে, সম্পর্কের বন্ধনে বন্দি হয়ে। আবার সম্পর্ক কখনও শেষও হয় না, শুধু পরিবর্তিত হয়। বিচ্ছেদ যে কোনও সম্পর্কে যে কোনও সময় আসতে পারে। যে কোনও বিচ্ছেদই কষ্টদায়ক কিন্তু প্রত্যেক মানুষের নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা রয়েছে। আর এতে করে তিনি তারা নিজের মতো করে ভালো থাকতেই পারেন।’
অপু লিখেন, ‘আমাদের বাঙালি সমাজ এখনও সেভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। তাই তো ডিভোর্স কথাটা শুনলেই অনেকেরই কান ভোঁ-ভোঁ করে ওঠে। এই কারণেই ডিভোর্সির দিকে কপাল কুঁচকে তাকানোটাই এই সমাজের একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পর্ক তৈরি করার মতন, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাও খুব স্বাভাবিক। মানুষের জীবনে অনুভূতির সংকোচন, সম্প্রসারণ হতেই পারে। একসাথে থাকতে না চাওয়ার কারণ জন্মাতে পারে। ভাল না-ও লাগতে পারে। বিশেষ কোনও কারণে আলাদা হওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। আবার কেউ কেউ মানিয়ে নিয়েও বেঁচে থাকেন। দুজন মানুষের ভেতর আভ্যন্তরীণ বনিবনা না হলে, একসাথে থেকে তিক্ততা বাড়ানোর কোন মানেই হয় না।’
নিজেদের বিচ্ছেদকে ইতিবাচকভাবে দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘আশা করছি, আমাদের পরিচিতজন-শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাদের এই সিদ্ধান্তকে পজিটিভভাবে গ্রহণ করে আমাদের সাথে থাকবেন। আর একটা অনুরোধ করতে চাই, আদর্শিক পার্থক্য বা নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কারণে গালিগালাজ তথা নেতিবাচক মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। এখনও কিছু মানুষ আছেন যারা মূল্যবোধ, দায়বদ্ধতা, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস- এই শব্দগুলোর মানে বোঝেন। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, নিজের আপত্তি বা ক্ষোভ যৌক্তিক এবং শোভনীয় ভাষায় তুলে ধরুন।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। এরপর শুটিং স্পটসহ নানা জায়গায় প্রাণবন্ত উপস্থিতি ছিল অপু ও মাহি। পঞ্চম বিয়েবার্ষিকীর আগমুহূর্তে তারা জানালেন, তার আর দাম্পত্য জীবনে নেই।