ছবি : সংগৃহীত
আফগানিস্তানে বিয়েবাড়িতে গান-বাজনা বন্ধে ১৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে তালেবান। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের একটি বিয়েবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে বলে শনিবার জানিয়েছেন দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। শনিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি ও এবিপি লাইভ।
তালেবানের এই ধরনের নারকীয় আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কেবল নিন্দা জানানোই যথেষ্ট নয় বলেও দাবি করেছেন সালেহ। নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সকলকে তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঠিক কবে ঘটেছে, সে বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, ‘নানগারহার প্রদেশের একটি বিয়েবাড়িতে গান-বাজনা বন্ধে ১৩ জনতে হত্যা করেছে তালেবান যোদ্ধারা।’
তিনি আরও বলেন, (তালেবানের বিরুদ্ধে) প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন জাতীয় প্রয়োজন। এই ঘটনার নিন্দা জানানোই এখন যথেষ্ট নয়। তার ভাষায়, ‘কেবল নিন্দা জানোর মাধ্যমে রাগ প্রকাশ করতে পারি না।’
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আমরুল্লাহ সালেহ। তবে তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখলের পর আত্মগোপনে গিয়ে নিজেকে ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তিনি।
এদিকে বিয়েবাড়িতে তালেবানি গণহত্যার পেছনে ‘পাকিস্তানকে’ দায়ী করেছেন সাবেক এই আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার দাবি, এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে পাকিস্তানই।
টুইটারে আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, ‘আফগান সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে গত ২৫ বছর ধরে পাকিস্তান ওদের (তালেবান) প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পাশাপাশি ধর্মান্ধতার প্রয়োগ করে আইএসআই আমাদের ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছে। আর সেই কাজে ওরা এখন পুরোপুরি সফল। এই সরকার টিকবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যতদিন এটি থেকে যাবে আফগানদের এর মূল্য পরিশোধ করেই যেতে হবে।’