• ২২ মে ২০২২ ২১:৩৩:৪২
  • ২২ মে ২০২২ ২১:৩৩:৪২
অন্যকে জানাতে পারেন: Facebook Twitter Google+ LinkedIn Save to Facebook প্রিন্ট করুন
বিজ্ঞাপন

ইবিতে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলায় সিনিয়রকে থাপ্পড়, তদন্ত কমিটি

ছবি : সংগৃহীত

ইবি প্রতিনিধি:

সাইকেল নিয়ে হলে প্রবেশের সময় রাস্তা থেকে সরে যেতে বলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক জুনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে সিনিয়রকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ফারহান লাবীব ধ্রুব বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। 

শনিবার (২১ মে) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হল গেটে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাদরিল হাসান হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, সাদরিল বাইসাইকেল নিয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের রিডিং রুমে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঐ হলের ছাত্রলীগকর্মী ধ্রুবসহ কয়েকজন হল গেটে দাঁড়িয়ে থাকায় তাদের সরে দাঁড়াতে বলেন সাদরিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিত-া হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদরিলের গালে চড় মারেন ধ্রুব। এসময় সাদরিলও তাকে মারতে উদ্যত হলে পাশে থাকা ছাত্ররা তাদের থামান। পরে ধ্রুব তার বন্ধুদের ডেকে এনে আরো একধাপে সাদরিলকে মারতে উদ্যত হন বলে জানা যায়। পরে উপস্থিত সকলে তাদের থামিয়ে দেন।  ধ্রুবর অভিযোগ, সাদরিল তার পায়ে সাইকেল লাগিয়ে দেয়ায় বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এছাড়া তিনি ধ্রুবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কিন্তু সাদরিলের দাবি,ধ্রুবর পায়ে সাইকেল লাগেনি। সাইকেল থেকে নেমে তাদের সরে যেতে বলেছিলাম।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাদরিল। সাদরিল বলেন, আমি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হলের রিডিং রুমে যাচ্ছিলাম। ধ্রুবসহ আরও একজন হলে ঢোকার গেটেই দাঁড়িয়ে ছিল। আমি জিজ্ঞেস করি তোমরা এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন? তখন ধ্রুব দাঁড়িয়ে আছি মানে বলেই খুব জোরে আমার গালে চড় দেয়। পরে তারা আবার মারতে আসে। পরে সে হলের ছাত্রলীগ নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট করতে প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু আমি প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

ধ্রুবর বিরুদ্ধে এর আগেও সিনিয়র শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ১২ই নভেম্বর সাদ্দাম হোসেন হল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরিফ ও তার বন্ধুদের মারধর করেন ধ্রুব ও তার বন্ধুরা। অভিযোগের বিষয়ে ধ্রুব বলেন, উনি আমার পায়ে সাইকেল লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আমি সাবধানে চালাতে বলায় বুকে হাত দিয়ে আমাকে সরিয়ে দেন। পরে তার সাথে হাতাহাতি হয়েছিলো। এসময় আমিও হাতে ব্যাথা পাই।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সাদরিল ও ধ্রুব উভয়ই আমাকে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর মুর্শিদ আলম, আমজাদ হোসেন এবং শাহাবুব আলম। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করার মধ্য দিয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Page rendered in: 0.1454 seconds.