ছবি : সংগৃহীত
জিম্বাবুয়ে সফরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে। প্রায় পাঁচ বছর নেতৃত্ব দিয়ে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হয়েছে কাজী নুরুল হাসান সোহানকে।
শুধু নেতৃত্ব বদলেই শেষ নয়, দলের সিনিয়র দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দেওয়া হয়েছে বিশ্রাম। সাকিব আল হাসান যাচ্ছেন না ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে থাকায়। চলতি মাসে উইন্ডিজ সফরের সময় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়ে দেন ওপেনার তামিম ইকবাল। দলে নেই অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন, ব্যাটার ইয়াসির আলী রাব্বি।
সব মিলিয়ে নতুন একটা দল নিয়েই জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান। নেতৃত্ব পেয়েই চাপ সামলানোর বড় দায়িত্ব সোহানের কাঁধে। কারণ, এই ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত ১৬ ম্যাচে একবারও হারেনি বাংলাদেশ।
তবে সোমবার টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, এই সফরে জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা হোয়াইটওয়াশড হলেও আপসেট হবেন না তিনি।
‘সত্য বলতে জিম্বাবুয়েতে যদি আমরা ৩-০ ব্যবধানে হেরে যাই তবুও আমি বিন্দুমাত্র আপসেট হব না। কারণ, আমি এই চাপ ওদের দিতেই চাই না। আমি চাই ওরা ফ্রিডম নিয়ে খেলুক, ফ্রি হয়ে খেলুক। ওদের বডি-ল্যাঙ্গুয়েজ কী আছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আমরা টি-টোয়েন্টির মতো খেলতে পারি কি না, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেও ওয়ানডে দল নিয়ে আপাতত ভাবছেন না খালেদ মাহমুদ। একই ভাবনা টেস্ট দল নিয়েও।
‘আমাদের ওয়ানডে দল আমরা টাচই করতে পারব না, সেখানে পারফরম্যারন্স ভালো হচ্ছে। এখানে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারব না। টেস্ট ক্রিকেট, আমি মনে করি অভিজ্ঞদের জায়গা। একটাই মাত্র ফরম্যাট যেখানে নতুন কাউকে দেখতে পারি, সেটা হলো টি-টোয়েন্টি।’
তবে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বিশ্রাম দেওয়া দুই সিনিয়র মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর দলে ফেরার রাস্তা একেবারেই বন্ধ হয়েনি বলেও জানান তিনি।
‘রিয়াদ, মুশফিক, সাকিব যে এই সংস্করণ থেকে বাদ হয়ে গেল, ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা কিছু ছেলেকে দেখতে চাই। যারা সম্ভাবনাময়, তাদের নিজেদের সেরা জায়গায় খেলিয়ে আমরা দেখতে চাই, কী করে। সিনিয়রদের সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। জানি কী পারে, না পারে।’