ছবি : সংগৃহীত
ছাত্রলীগের ব্যানারে নয়; বরং ব্যক্তিগতভাবে দুংখ প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগের কর্মী তুষার, হেদায়েতুল ইসলাম, ইত্তেজা রাকিবসহ অন্যারা এ কথা জানান।
কবি জসীম উদদীন হলের ছাত্রলীগ কর্মী ইত্তেজা রাকিব বলেন গত শুক্রবার 'আমাদের হলের বন্ধুকে শাহবাগ থাানার পাশে মারধর করা হচ্ছে' এরকম একটি তথ্যের ভিত্তিতে আমরা শাহবাগ যাই এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িয়ে পড়ি। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই জন কর্মী আহত হয়। পরে আমরা জানতে পারি, এটা একটা ভুল তথ্য ছিলো এবং আমাদের বন্ধুকে মারধর করা হয়নি। ওই দিন তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভুল বোঝাবুঝি'র দরুন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো।
এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সাথে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করি এবং ভুল বোঝাবুঝি দূর করে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করি।
কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু অনলাইন পোর্টালে নিউজ করা হয়, "ছাত্রলীগ বা ছাত্রলীগ কর্মী ক্ষমা চেয়েছে" যা সত্য ঘটনার সাথে পুরোপুরি সংগতিপূর্ণ নয়। এতে প্রতীয়মান হয় যে, আমাদের ব্যক্তিগত ভুলে সংগঠনকে দায় দেওয়া হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করায় আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেছি।
মূল ঘটনাটি হলো আমরা সবাই ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং উভয় পক্ষ সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছি। কারণ আমরা ছাত্রলীগের নির্দেশে সংঘর্ষে জড়াইনি। এমনকি ছাত্রলীগের প্রতিনিধি হিসেবেও দুঃখ প্রকাশ করিনি।
সুতরাং সাধারন শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা ব্যক্তিগতভাবে লজ্জিত। আমাদের ব্যক্তিগত ভুলের জন্য কোনভাবেই সংগঠনকে জড়ানো ঠিক হবে না। তাই উপস্থিত সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ, সঠিক তথ্যটি দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে আপনারা সহযোগিতা করুন।