বাংলাদেশ নারী দলের পেসার জাহানারা আলম। ছবি : সংগৃহীত
আধুনিক ক্রিকেটে পেসাররা ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে সক্ষম। নতুন বলে বিপক্ষের টপ অর্ডারে ধস নামাতে পেসারদের অবদান অনিবার্য। কিন্তু পেক্ষাপট যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট, তখন পেসাররা যেন দুধভাত! কেননা বাংলাদেশী কোনো নারী পেসার সর্বশেষ উইকেট পেয়েছে ২৭ মার্চ ২০২২।
এরপর প্রায় ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও জাহানারা- রিতু মনি- লতা মণ্ডল কিংবা ফারিহা তৃষ্ণারা কোনো সাফল্য এনে দিতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতিকে। এরমাঝে ৬ ম্যাচে পেসাররা বল করেছে যথাক্রমে ৪, ৫, ৫, ১, ০, ২(১৭ ওভার)। বলের হিসেবে ১০২ বলে পেসারদের ঝুলিতে শূন্য উইকেট।
ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে জাহানারা আলম ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে দিয়েছেন ১৫ রান। পেসারদের এমন দূর্দিনে জ্যোতি পেসারদের দূরে ঠেলে দেননি। অধিনায়ক হিসেবে তাদের উপর হারাচ্ছেন না আস্থা। গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) থাইল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে পেসারদের নিয়ে কথা বলেন টাইগ্রেস কাপ্তান।
পেসারদের এমন পারফরম্যান্সের পরেও চিন্তিত নন জ্যোতি। জ্যোতির বিশ্বাস প্রয়োজনে পেসাররা আস্থার প্রতিদান দিবেন। পেসারদের বেশী ব্যবহার না করার কারণও জানান জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘পেসাররা যে ভালো করছে না, তা কিন্তু না। মূল বিষয় হচ্ছে, পরিস্থিতি যেটা ডিমান্ড করছে সেটা ফুলফিল হচ্ছে না। জাহানারা আপু ২ ওভারে ১৫ রান খরচ করেছেন। পরবর্তী সময়ে উনাকে বা রিতু মনিকে দিয়ে বল করাতে পারতাম, যদি পেসার ভালো করতো। কিন্তু আজকের দিনটা(শনিবার) মনে হয়েছে স্পিনার দিয়েই হবে।’
‘আগামী ম্যাচে হয়তো ডিফরেন্ট হবে। দেখা যাবে জাহানারা আপু এক্সট্রা অর্ডিনারি বল করছেন। রিতু মনিকে হয়তো নিয়ে আসতে পারছি। এটা দিনের ওপর ডিপেন্ড করবে।’ - যোগ করেন জ্যোতি।