ছবি : সংগৃহীত
দৈনন্দিন কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজার এবং শহর বাজার অলিগলিতে বিশেষ করে কম্পিউটার এডিটিং ,কম্পোজ এর দোকানগুলিতে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি পর্নোগ্রাফিতে ছয় লাভ। গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজার গুলি কে জবাবদিহিতা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার পাশাপাশি কম্পিউটারের দোকানগুলিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইন্টারনেট আসার পূর্বে অর্থাৎ ৯০ এর দশক পর্যন্ত কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু স্থানে বা গোপনে টেলিভিশনে ভিডিও ক্যাসেটের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি প্রদর্শন করা হতো। পরবর্তীতে এই স্থান দখল করে নেয় সিডি। ১৯৯৬ সালে সেলুলার ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি ধীরে ধীরে মানুষের হাতে যখন স্মার্ট ফোন চলে আসে সেই সাথে পর্ন ভিডিও মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসে। ডিজিটাল যুগে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজার যেমন ক্রম, ফায়ারফক্স, মজিলা, মিনি অপেরা, বেটা, ভিপিএন সহ বিভিন্ন ব্রাউজার ব্যবহার করে আসছে আর সেই সকল প্রয়োজনে সার্চ দেয়ার সাথে সাথে মিলে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি পর্ণ ভিডিও লিংক।
এ সকল ব্রাউজার নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমরা লক্ষ্য করিনি। তাছাড়া পাড়া মহল্লার অলিগলিতে কম্পিউটার অপারেটর, পোস্ট এডিটিং এর নামে গড়ে ওঠা কম্পিউটার দোকানগুলিতে দশ বিশ টাকার বিনিময়ে মেমোরি কার্ড এর লোড অথবা শেয়ারিং এর মাধ্যমে পর্ন ভিডিও ব্যবসা চলছে। এসব নজরদারি করার জন্য নিয়ন্ত্রণ কমিশনের, মন্ত্রণালয় এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম গ্রহণ করতে খুব একটা উদ্যোগ আমরা লক্ষ্য করিনি। যদিও গত দুইদিন আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ২৮৮ টি লিংক বন্ধ করেছেন বলে জানতে পেরেছি গণমাধ্যমে। কিন্তু এই সামান্যতম লিংক বন্ধ করা অনেকটাই সাগর থেকে এক বালতি জল তুলে আনার মত। প্রকৃতপক্ষে পর্নো নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গুগলসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্রাওজার গুলাকে নিয়ন্ত্রণ ও জবাব দিহিতার মধ্যে আনতে হবে।
পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় অভিযান পরিচালনা করতে হবে। সেই সাথে জনসচেতনতা গড়তে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সকল পক্ষের। যেহেতু বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ এবং আইনগতভাবে বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ। তাই এ ব্যাপারে সরকারকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে না হলে আগামী প্রজন্ম বিপথগামী হবে এবং দেশে ধর্ষণ ও নয় রাজ্য বিস্তার লাভ করবে।