• নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৫৪:১৮
  • ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:৫৪:১৮
অন্যকে জানাতে পারেন: Facebook Twitter Google+ LinkedIn Save to Facebook প্রিন্ট করুন
বিজ্ঞাপন

সারা বিশ্বের চোখ ১০ ডিসেম্বরের দিকে: ফখরুল

ছবি : সংগৃহীত

‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সামনে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ বিপন্ন। এ অবস্থায় ১০ ডিসেম্বরের দিকে শুধু দেশের মানুষ নয়, সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে আছে। ঢাকা বিভাগীয় বিএন‌পির মহাসমাবেশ যেকোনো মূল্যে সফল করতে হবে। মামলা-হামলা গ্রেপ্তার উপেক্ষা করেও আমাদের সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

সোমবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএন‌পি চেয়ারপারস‌নের রাজ‌নৈ‌তিক কার্যাল‌য়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিএন‌পি মহাস‌চিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফলের লক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) সঙ্গে এদিন বিকেলে এক মতবিনিময় করে বিএনপি।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ভার্চুয়া‌লি যুক্ত হ‌য়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়াও বিএন‌পি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটা আমা‌দের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই এটা করে। তারা ভয় দেখিয়ে জনগণ‌কে শাসন করে। জনগণের সঙ্গে থাকে না বরং প্রতারণা করে। ভুল বুঝিয়ে ভোট নেয়। তাদের আসল চেহারা বেরি‌য়ে প‌ড়েছে।

তিনি বলেন, সারা দেশে মানুষ জেগে উঠেছে। বিগত ৯টি বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। নদী সাঁতরে, হেঁটে, সাইকেলে চড়ে, চিড়া-মুড়ি গুড় নিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছে। মানুষ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে শরিক হয়েছে। তারা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। জনগণ কিছুই চায় না, তারা শুধু মুক্তি চায়।

১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ সফল করতে মামলা-হামলা গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। পেশাজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন বেগবান করতে হবে। অতীতেও পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ব‌লেও জানান ফখরুল।

তিনি বলেন, এখন শুধু তারেক রহমান বা বিএনপির অস্তিত্বের প্রশ্ন নয়, আজকে গোটা জাতির জন্য অস্তিত্বের লড়াই। যদি গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চাই, তাহলে যেকোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ সফল করতে হবে।

অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ফ্রি চিকিৎসা, হাসপাতালে পাঠানো ও মেডিক্যাল টিম, হটলাইন নাম্বারসহ বিভিন্ন সেবার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশের গ্রামীণ মানুষ আজ অতিষ্ঠ। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে একটি গোষ্ঠী হামলা মামলা চালাচ্ছে। ইনশা আল্লাহ আমাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ মহাসমাবেশে রূপ লাভ করবে। ইতোমধ্যে অনেক লোক ঢাকা আসা শুরু করেছে। পল্টন এলাকায় গেলেই দেখা যাবে লোকে লোকারণ্য। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই সরকারের পতন হবে। অতীতেও তাই হয়েছে।

আব্দুস সালাম বলেন, নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি না দিলে গোটা ঢাকায় সমাবেশ হবে। তা না হলে সেটা কিন্তু ঠেকানো যাবে না।

বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রকৌশলী আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড. মামুন আহমেদ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, অ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Page rendered in: 0.1583 seconds.