বাটলারকে ফিরিয়ে উল্লাসে বাভুমা–নর্কিয়ারা। ছবি: গেটি ইমেজস
ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা সেটি প্রমাণ হলো আবারও। রয়ের সেঞ্চুরিতে ১৪৬ রানের সূচনা পাওয়া ইংল্যান্ড টপকাতে পারেনি ২৯৯ রান। নর্কিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ে হার মেনেছে ২৭ রানে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাঠ ব্লুমফন্টেইনে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। টস ভাগ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় হলে নেয় ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। এক বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে সুময় হয় সিসান্দা মাগালার। টস জয়ী প্রোটিয়াদের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। অধিনায়ক বাভুমা ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার ডি ককেন দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬১ রানের সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর র্যাসি ভ্যান ডের ডুসেনের ব্যাটে বড় রানের দিকে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডুসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিনে হতাশ করেন মার্করাম। কিন্তু পাঁচ নাম্বারে নামা ক্লাসেন যোগ্য সঙ্গ দিলে ফিফটি তুলে নেন ডুসেন। কিন্তু ক্লাসেন ৩০ রানে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে ডেভিড মিলার ও ডুসেন জুটি গড়ে রক্ষা করেন দলকে। দলীয় ২৮১ রানে ডুসেন সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ১১১ রানের অসাধারণ ইনিংস। ডুসেনের সেঞ্চুরি দিনে মিলারের ৫৩ রানে ভর করে ২৯৮ রানের পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা।
প্রোটিয়াদের দেওয়া ২৯৯ রানের লক্ষ্যে ওপেনিং আসেন জেসন রয় ও ডেভিড মালান। দুই ইংলিশ ওপেনারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে খেয় হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। রাবাদা–নর্কিয়াদের তুলোধুনো করে জেসন রশ তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি, পিছিয়ে থাকেন না মালানও; তুলে নেন ফিফটি। ফিফটির পর মালানা ৫৯ রানে ফিরলে ভাঙে ১৪৬ রানের উড়ন্ত সূচনা।
২৯৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯.৩ ওভারে ১৪৬ রান তোলা ইংল্যান্ড ৬ রানের মধ্যেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। ব্রুক–ডাকেটদের ব্যর্থতার দিনে বাটলারের সাথে জুটি বেঁধে সেঞ্চুরি তুলে নেন জেসন রেয়। সেঞ্চুরির পর ১১৩ রানে রয় আউট হলে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। মঈন আলী ও বাটলার সেই চাপ দূর করার চেষ্টা করলেও ব্যর্ঢ হোন মঈন। শেষ পর্যন্ত কারেন–উইলিরা হতাশ করলে ২৭ রানের হার মানে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯৮/৭ (৫০ ওভার)
ডুসেন ১১১, মিলার ৫৩, ডি কক ৩৭
স্যাম কারেন ৩৫/৩
ইংল্যান্ড ২৭১/১০ (৪৪.২ ওভার)
রয় ১১৩, মালান ৫৯, বাটলার ৩৬
নর্কিয়া ৬২/৪, মাগালা ৪৬/৩, রাবাদা ৪৬/২