৬০ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। ছবি: সংগৃহীত
দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন নাজমুল শান্ত। সমালোচনার জবাব যেন মিটিয়ে দিচ্ছেন কড়ায় গণ্ডায়! আজ ৬০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে নিজেকে নিয়েছেন সবার উপরে। কিন্তু সিলেটের দর্শকদের আসল মজা দিয়েছেন মুশফিক–বার্লের বিধ্বংসী জুটি। সেই সাথে ঘরের মাঠে প্রথম জয়ের সাথে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে মাশরাফিরা।
আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের মুখোমুখি হয় সিলেট। টস ভাগ্যে স্বাগতিকদের জয় হলে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রামে। মাশরাফির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম বলেই পেরেক মারেন মাশরাফি। জাকির হাসানের অসাধারণ ক্যারে গোল্ডেন ডাক মারেন উসমান খান। শূন্য রানে এক উইকেট হারালেও আফিফ ও মারুফের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় চট্টগ্রাম। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন মেহেদী মারুফ। আফিফ–মারুফের ব্যাটে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখা চট্টগ্রাম খেয় হারায় দলীয় ৮৮ রানে আফিফের বিদায়ে।
৮৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো চট্টগ্রাম ৯ রানের মাঝে হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। ৮৮/১ থেকে ৯৭/৫! ত্রাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া চট্টগ্রামকে পথ দেখান শুভাগত হোম। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ফিফটি। চরম নাটকীয় পূর্ণ প্রথম ইনিংসের শেষ ওভারে সাকিব ২০ রান দিলে ১৭৪ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের দেওয়া ১৭৫ রানকে সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নামেন সিলেটের দুই ওপেনার নাজমুল শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দিতে থাকেন শান্ত। শান্তর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিনে তৌহিদ খেলতে থাকেন সাবধানে। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৫ রানে তৌহিদ ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে সিলেট। তবে সেই চাপ বাড়তে দেননি মুশফিক ও শান্ত। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে শান্ত ফিফটি তুলে নিলে বড় জয়ের পথে এগিয়ে যায় সিলেট। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬০ রানে শান্ত ফিরলে সেটি সম্ভব হয়নি।
শান্ত ফিরলেও মুশফিকের সাথপ জুটি বেঁধে বিধ্বংসী ব্যাটিং উপহার দেন রায়ান বার্ল। নিহাদুজ্জামের এক ওভারে ২৯ রান নিলে জয় সময়ের ব্যপার হয়ে দাঁড়ায় সিলেটের সামনে। সেখান থেকে ১৬ বলে ৪১ রানে বার্ল ফিরলেও জাকিরকে সাথে নিয়ে সিলেটকে ৭ উইকেটের বড় জয় এনে দেন মুশফিকুর রহিম। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জায়গা করে নিল সিলেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১৭৪/৬ (২০ ওভার)
শুভাগত ৫৪*, মারুফ ৫১, আফিফ ৩৪
ইমাদ ২৩/২
সিলেট ১৭৭/৩ (১৮ ওভার)
শান্ত ৬০, মুশফিক ৪১*, বার্ল ৪১