• নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:২৪:১৪
  • ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:২৪:১৪
অন্যকে জানাতে পারেন: Facebook Twitter Google+ LinkedIn Save to Facebook প্রিন্ট করুন
বিজ্ঞাপন

এটাই হয়তো আমার শেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

ছবি : সংগৃহীত

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) প্রথম সমাবর্তন ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এরং শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী। 

রাষ্ট্রপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটিই হয়তো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তাঁর শেষ উপস্থিতি। দেশজ নাম এবং ব্র্যান্ডকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এবং গর্বের সাথে নিজেদের পণ্যকে ধারণ করতে বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন- “কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বহু বছর সাফল্যের সাথে কানাডায় নিজের ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তারপরেও তিনি এখন দেশে ফেরত এসে বিভিন্ন খাতে বিপুল বিনিয়োগ করছেন। আমি প্রবাসী সকল ব্যবসায়ীদেরকে আহবান করি দেশে বিনিয়োগ করার জন্য”।   

সমাবর্তন বক্তা নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে বলেন, "আপনাদের স্বপ্ন দেখতে হবে, নিজেকে আবিষ্কার করতে হবে, যে কোন ভালো কাজের উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়িত করতে হবে। হয়তো কোন একদিন এই কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশেরই এক ছাত্র নোবেল বিজয়ী হবে। আমি সেদিন নিজে আসব বিজয় উৎসবে অংশ নিতে” ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, "প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট-২০১০, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০, উচ্চ শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশনসহ নানা শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগ বর্তমান সরকার গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে শিক্ষার হার প্রশংসনীয়ভাবে বেড়েছে। আমরা এখন দক্ষ জনবল সরবরাহ করি। যারা এখন সারাবিশ্বেই তাদের কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে বিশ্বের বুকে স্থান করে নিচ্ছে।"

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান "গেস্ট অব অনার" হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত তাঁর বক্তব্যে বলেন, “কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে রয়েছে আধুনিক সময়োপযোগী বিভিন্ন বিভাগ। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে রয়েছে বৃত্তির সুযোগ। ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।"

সমাবর্তনে মালয়েশিয়ার বিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য যোসেফ আদাইকালাম, অ্যারো বিজনেস এবং জিই গ্যাস পাওয়ারের সিইও দিপেশ নন্দ বিশেষ বক্তা হিসেবে যোগ দেন কনভকেশনে।

সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ৪৩০ জন গ্রাজুয়েট রাষ্ট্রপতির নিকট হতে ডিগ্রি গ্রহণ করেন এর মধ্যে ৪ জন সামিয়া বিনতে নাঈম, সুমাইয়া সুলতানা, ফারজানা বিন্ত মোহাম্মদ, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন স্বর্ণ পদক গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Page rendered in: 0.1415 seconds.