একাই ৬ উইকেট শিকার করেন আর্চার। ছবি: সংগৃহীত
শুরুটা করেছিলেন লুঙ্গি এনগিডি, শেষটা রাঙিয়ে দিলেন জোফরা আর্চার। মাঝে বাটলার–মালানের রাজসিক ব্যাটিং, সাথে ক্লাসেনের লড়াই। সবমিলিয়ে জমজমাট ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয় ৫৯ রানে।
দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে শুরুটা ভালো হয়নি আর্চারের। কিন্তু বিরতির পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেই করলেন বাজিমাৎ। ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৪৭ রানেরর লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রোটিয়াদের দারুণ শুরু এনে দেন বাভুমা ও রিজা হেনড্রিক্স। শুরুটা সুন্দর হলেও মাঝে খেয় হারিয়ে বসে প্রোটিয়ারা৷ কিন্তু সপ্তম উইকেট জুটিতে ক্লাসেন ও পার্নেলের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জমে ওঠে ম্যাচ।
কিন্তু ক্লাসেনকে বেন ডাকেটের ক্যাচে পরিণত করে ম্যাচের দৃশ্যপট মূহুর্তের মধ্যেই বদলে ফেলেন আর্চার। এরআগে দলের সেরা দুই ব্যাটার ভ্যান ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলারকে আউট করে ম্যাচে রাখেন ইংল্যান্ডকে। শেষ পর্যন্ত আর্চারের ৬ উইকেটে ২৮৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৯ রানের জয়ে হোয়াইট ওয়াশ এড়ান ইংল্যান্ড।
এরআগে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। টস ভাগ্য হার হলেও ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পান ইংল্যান্ড। কিন্তু লুঙ্গি এনগিডির বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে জস বাটলার ও ডেভিড মালানের অসাধারণ ২৩২ রানে জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। বাটলারের ১৩১ ও মালানের ১১৮ রানের সাথে মঈন আলীর ঝড়ো ৪১ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৪৬ রানের পুঁজি পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ৩৪৬/৭ (৫০ ওভার)
বাটলার ১৩১, মালান ১১৮, মঈন ৪১
লুঙ্গি ৬২/৪, জানসেন ৫৩/২
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৭/১০ (৪৩.১ ওভার)
ক্লাসেন ৮০, হেনড্রিক্স ৫২, মার্করাম ৩৯
আর্চার ৪০/৬, রশীদ ৬৮/৩
ফলাফল: ইংল্যান্ড ৫৯ রানে জয়ী।
সিরিজ ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ২-১ ইংল্যান্ড
ম্যাচ সেরা: জস বাটলার
সিরিজ সেরা: জস বাটলার (২৬১ রান)