ছবি : সংগৃহীত
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ানের লাইভ আপডেট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৭১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৯ হাজার ৫৭ এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৬৬২ জন। আহত হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
এ ছাড়া ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস এবং অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে অংশ নিয়েছেন ৯ হাজার সেনাসহ ১২ হাজারের বেশি কর্মী। তবে, বৈরী আবহাওয়া ও বিপর্যয়ের ব্যাপকতার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় বেগ পেতে হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্মকর্তাদের ধারণা, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় ভ্রমণ করেছেন। ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি।
এদিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে কাতার সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘরসহ ত্রাণসামগ্রী, পর্যাপ্ত পরিমাণ তাঁবু ও শীতবস্ত্রও পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।