একমাত্র গোলটি করেন কোমান। ছবি: সংগৃহীত
মেসি–নেইমার–এমবাপ্পে–রামোস–হাকিমি! কি নেই দলে? সবই রয়েছে, শুধু ৯০ মিনিটে একটি একটি গোলও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে তারকা ঠাসা পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানির ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ।
পার্ক দেস প্রিন্সেসে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় পিএসজি ও বায়ার্ন। ইনজুরি কাটিয়ে শুরুর একাদশে ফেরেন লিওনেল মেসি, ইনজুরিতে থাকা আরেক তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও ছিলেন বদলির তালিকায়।
শক্তির বিচারে পিছিয়ে ছিল না কোনো দলই! তারকাঠাসা পিএসজির বিপক্ষে বায়ার্নেও ছিলো মুসিয়ালা, জশুয়া, মটিংদের মতো ফুটবলার। প্রিন্সেসে শুরু থেকেই পিএসজির উপর প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকে বায়ার্ন। প্রথমার্ধে বেশ চাপে রাখে পিএসজিকে। পিএসজি যে খিব বেশি পিছিয়ে ছিলো এমনটাও নয়, আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে পিএসজিকে কিছুটা নাস্তানাবুদই করে বায়ার্ন। তবুও প্রথমার্ধে গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যেতে হয় বায়ার্নকে।
বিরতির পর খেলায় আরও গতি বাড়িয়ে দেন বায়ার্ন। পিএসজিও চেষ্টা করে প্রভাব বিস্তার করে খেলার। কিন্তু ম্যাচের ৫৩ তম মিনিটে গোল হজম করে বসে পিএসজি। এরপর মাঠে এমবাপ্পের আগমন। এমবাপ্পের আগমনে খেলায় গতি পায় পিএসজি। দারুণ সব আক্রমণে গোলের সম্ভাবনাও তৈরি করেন এমবাপ্পে–মেসিরা। কিন্তু শেষ মূহুর্তে গিয়ে লক্ষ্যে নল জড়াতে ব্যর্থ হোন বারংবার। এরমাঝে ম্যাচের ৮২ তম মিনিটে বায়ার্নের জালে বল জড়িয়ে উল্লাস করে এমবাপ্পে। কিন্তু ভিএআরে অফসাইড ধরা পড়লে গোলটি বাতিল হয়। শেষ মূহুর্তে বেশকিছু সুযোগ তৈরি করলেও বায়ার্নের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হোন মেসি–এমবাপ্পেরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৯০ মিনিটের সাথে আরও অতিরিক্ত চার মিনিটেও কোনো দল গোলের দেখা না পেলে কোমানের একমাত্র গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।