১৪৯ রানের জুটি গড়েন লাথান ও কনওয়ে। ছবি: সংগৃহীত
প্রথম দুই দিন সফরকারী ইংল্যান্ডের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ স্বাগতিককে। তৃতীয় দিনেই ম্যাচ হারের সম্ভাবনাও জেগেছিল তাতে। কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরুটা রাঙিয়ে দিয়েছেন টিম সাউদি। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে খেলেছেন ৭৩ রানের ইনিংস। এই ইনিংস ৬ টি ছক্কা হাঁকিয়ে ধোনি–মেসবাহের পেছনে ফেলে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানো ব্যাটারদের তালিকায় নিয়েছেন সেরা দশে। লাথামের অনবদ্য ইনিংসের পরেও মাত্র ২০৯ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে রাজসিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় নিউজিল্যান্ড। দারুণ ব্যাটিংয়ে দু'জনই তুলে নেন ফিফটি। এরই সাথে সপ্তম কিউই ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন টম লাথাম। ফিফটির পর দলীয় ১৪৯ রানে কনওয়ের ফিরলে শেষ বিকেলে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।
এরআগে, ওয়েলিংটনে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। টস ভাগ্যে জয়ী নিউজিল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। মাত্র ২১ রানে ইংল্যান্ডের ৩ ব্যাটারকে ফিরিয়ে রাজত্ব করাট আভাস দেয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু চতুর্থ উইকেট জুটিতে হ্যারি ব্রুক ও জোর রুটের অসাধারণ জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। দুইজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি। দিনের শেষ সেশনে বৃষ্টির কারণে পুরোদিনের খেলা না গড়ালে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে (শনিবার) দ্বিতীয় দিনে ৩০০ রানের জুটি পূর্ণ করেন রুট ও ব্রুক। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৮৬ রানে ব্রুক ফিরলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত রুটের ১৫৩ রানে ভর করে ৪৩৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের করা ৪১৫ রানকে সামনে রেখে ব্যাটিয়ে নেমে লাঞ্চের আগেই ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে এন্ডারসনেট দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর লিচের দারুণ বোলিংয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। ১০৩ রানেই ৭ উইকেট হারায় দলটি। দিনের শেষ দিকে টিম সাউদি ও টম ব্রান্ডেলের ব্যাটে ভর করে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনশষে এন্ডারসন ও লিচ ৩ টি করে উইকেট শিকার করেছিলেন।
আগামীকাল চতুর্থ দিনে ২৪ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামবে নিউজিল্যান্ড।