জয়ের পর সাকিব–তামিম। ছবি: সংগৃহীত
এ যেন জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো অবস্থা। পাপনের বিস্ফোরক মন্তব্যের দুইদিন যেতে না যেতেই তামিমের মুখে শোনা গেলো ভিন্ন গল্প। তামিম ইকবাল জানালেন সাকিবের সঙ্গে কোনো ঝামেলা নেই তার।
সাকিব ও তামিমের বন্ধুত্ব বহুদিনের। ক্রিকেট কিংবা ক্রিকেটের বাহিরে সবখানেই তাদের বন্ধুত্ব ছিল বেশ দারুণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেট পাড়ায় শোনা যায় সাকিব–তামিমের সম্পর্ক নেই আগের মতো। এরই মাঝে ক্রিকবাজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবি বস পাপন জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। সাকিব–তামিম কথা বললেন না প্রয়োজন ছাড়া৷ এমনকি তাদের মিটমাটের চেষ্টা করেও সফল হননি বিসিবি সভাপতি।
পাপনের এমন মন্তব্যের পর ক্রিকেট পাড়ায় যেনো আলোচনা থামছিলো না। এবার সেই আলোচনা কিছুটা হলেও ঠাণ্ডা করলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে তামিম শুনিয়েছেন তাদের মাঝে নেই কোনো দ্বন্দ্ব।
তামিম বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা নেই। এমনকি ড্রেসিং রুমের পরিবেশও ভালো। এমনটা না হলে, বাংলাদেশ দল এতোটা সাফল্য পেতো না।’
তামিম–সাকিবের মাঝে যে সম্পর্ক খারাপ সেটি বোঝার উপায়ও নেই। ওয়ানডে ক্রিকেটে তামিমের অধিনে খেলেন সাকিব, আবার টেস্টে সাকিবের অধিনে খেলোন তামিম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ম্যাচে তামিম–সাকিবের ব্যাটে জয়ের পর বিশ্ব দেখেছিল কি মধুর বন্ধন (উপরের ছবিটি)।
তামিম এবার জানলেন যদি সম্পর্ক ভালো না হতো তাহলে পাঁচ বছর ধরে কি দল এতোটা সফল হতো! তামিম বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই দলের অবস্থা বেশ ভালো। রেজাল্টও তো আপনারা দেখছেন, আমরা পাঁচ বছর ধরে ওয়ানডেতে ভালো করছি। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভালো না থাকলে এটা হতো না। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।’
এমনকি মাঠের মধ্যে সাকিব – তামিমের কথোপকথনও হয় বেশ। যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকে দু'জন দুজনার। এই বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আমি আর সাকিব যখন বাংলাদেশ জার্সি পরে মাঠে নামি, তখন আমি আমার সেরাটা দিই, সে তার সেরাটা দেয়। আবার আমি অধিনায়ক হিসেবে সাজেশন চাই, তখন তার কাছে সাজেশন পাই। আবার সে যখন অধিনায়ক থাকে, তখন আমার কাছে সাজেশন চাইলে আমি হেল্প করি। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর বাইরে কিছুই না।’