১ রানের অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত
এভাবেই ম্যাচে ফেরা যায়? অবশ্যই। প্রথম দুইদিন ইংল্যান্ডের হলেও শেষ দিনের রোমাঞ্চে ১ রানের জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ওয়েলিংটনে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া টেস্টে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুকের ১৮৬ ও জো রুটের ১৫৩ রানে ভর করে ৪৩৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। ইংল্যান্ডের করা ৪৩৫ রানকে সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনে এন্ডারসন –লিচের দারুণ বোলিংয়ে খেয় হারানো নিউজিল্যান্ড তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ায় টিম সাউদির ব্যাটে।
টিম সাউদির ৭৩ রানে ভর করে ২০৯ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। এরফলে, ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিনটি রাঙিয়ে দিয়েছিলেন দুই কিউই ওপেনার টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ে। দুইজনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ১৪৯ রানের উড়ন্ত সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে চতুর্থ দিনে কেন উইলিয়ামসের অসাধারণ ১৩২ রানের সঙ্গে টম ব্লান্ডেলের ৯০ ও মিচেলের আগ্রাসী ৫৪ রানে ভর করে ৪৮৩ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের পক্ষে লিচ ৫ উইকেট শিকার করেন। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি ইংল্যান্ডের। কিন্তু চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ক্রলির বিদায়ে ৪৮ রানে ১ উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে ইংল্যান্ড।
আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে হাতে ৯ উইকেট নিয়ে ২১০ রানের চ্যালেঞ্জ টপকাতে মাঠে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতো। স্কোরবোর্ডে ৫ রান যুক্ত হতেই ফিরে যান রবিনসন! এরপর ৬ রান যুক্ত হতেই ফিরে যান ইনফর্ম ব্যাটার বেন ডাকেট। মাত্র ৫৯ রানেই ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেন রুট ও পোপ। কিন্তু দলীয় ৮০ রানে পোপ ১৪ রানে ফিরলে শঙ্কা জাগে ম্যাচ হারের। সেটি আরও বেড়ে যায় ৮০ রানেই হ্যারি ব্রুকের বিদায়ে।
৮০ রানে পাঁচ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায় ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে। জো রুট ও বেন স্টোকসের দারুণ ব্যাটিংয়ে আবারও জমে ওঠে ম্যাচ। একপ্রান্তে রুট আগ্রাসী ব্যাটিং উপহার দিলেও স্টোকস যেন খেলতে থাকেন স্বভাববিরুদ্ধ ইনিংস। দলকে রক্ষার দায়িত্ব নিতে গিয়ে স্টোকস দেখার ধৈর্য্যর পরীক্ষা।
কিন্তু দলীয় ২০১ রানে স্টোকস ১১৬ বলে ৩৩ রানে ফিরলে ১ রান যুক্ত হতেই ফিরে যান রুট। ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে ৯৫ রানে ফিরলে আবারও হারের শঙ্কায় পড়ে নিউজিল্যান্ড। শেষ ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৫৫ রানের সমীকরণ মেলানোর চ্যালেঞ্জ দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। সেই চ্যালেঞ্জ প্রায় পূরণই করছিলেন ফোকস। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ফিরলে ৭ রানের প্রয়োজন দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের। শেষ উইকেট জুটিতে এন্ডারসন ও লিচ সেই সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ হোন। ওয়াগনারের অসাধারণ বোলিংয়ে ১ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।